যুদ্ধাপরাধী বিচারে সরকার সাহসী?
sanglap panelists
প্যানেল সদস্যরা (বাঁ থেকে): মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা, তানিয়া আমীর এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
এবারের বাংলাদেশ সংলাপের আয়োজন ছিলো ঢাকায় গত ২৯শে আগস্ট, ২০০৯ তারিখে। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এবারের সংলাপের প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য মহীউদ্দিন খান আলমগীর, বিএনপি নেতা ও জাতীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর।
আমন্ত্রিত দর্শকরা মিলনায়তনে প্রবেশের সময় যে লিখিত প্রশ্নগুলো জমা দেন প্রতিবারের মতো তা থেকেই বাছাই করে নেয়া হয় এবারের বাংলাদেশ সংলাপের প্রশ্ন সমূহ। প্যানেল সদস্যরা উত্থাপিত প্রশ্নের উপর তাৎক্ষনিকভাবে তাদের বক্তব্য কিংবা মতামত দেন। সেই সাথে উপস্থিত অন্য দর্শকরাও সেইসব প্রশ্নের উপর বিভিন্ন মতামত প্রদানের এবং সম্পূরক প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানের প্রথম প্রশ্ন করেন জাহিদ হোসেন। তিনি জানতে চান সেনা অফিসার কর্তৃক বিডিআর এর নেতৃত্ব গ্রহন সমস্যার সমাধানের আগেই বর্তমান বিডিআর পুনর্গঠনের পদক্ষেপ কতটা উপযোগী এবং যৌক্তিক?
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী
salahuddin quader chowdhury
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আসলেই কি সরকারের কর্তৃত্ব আছে?
বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই বলেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি জানান, বিডিআর বর্তমান কর্মপরিধি এবং গঠনের উদ্দেশ্যের কথা বিবেচনা করলে সেখানকার নেতৃত্বে সেনা অফিসার নিয়োগ দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
তবে তিনি মনে করেন, বিডিআর বাহিনীকে পুনর্গঠনের কোন দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা থাকলে কর্মপরিধি পরিবর্তন করে এখন থেকেই ধীরে ধীরে সেটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে।
তানিয়া আমীর এ বিষয়ে মনে করেন, জাতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাংবিধানিক ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি প্রশ্ন তুলেন, বিডিআর এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে না নিয়ে কেন প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া যাবে না?
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মূল কারণ উম্মোচিত হয়েছে কিনা?
দর্শকদের মধ্যে আরেকজন তানিয়া আমীরের সাথে একমত পোষণ করেন।
আরেকজন দর্শক বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সরকারী তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতে পারছেন না।
তিনি জানতে চান বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে সেনাবহিনীর কেউ জড়িত থাকলে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে কিনা?
audience
আরেকজন দর্শক মনে করেন, বিডিআর এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর কোন কর্মকর্তা নিয়োগ করা সমীচীন নয়।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এ প্রসংগে মনে করেন, বিডিআর এর নেতৃত্ব সেনাবাহিনীর হাতে না দিয়ে নিজস্ব কর্মকর্তা দিয়ে বিডিআরকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত।
তিনি শ্লেষের সাথে উল্লেখ করেন, দেশবাসীকে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দেয়া, জমি-ফ্লাট কেনা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা এবং চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার পর সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি মনে করেন, বিডিআর অসন্তোষের কারণ এবং এর নেপথ্য নায়কদের নির্ণয় করা গেলেও সরকারের এটি প্রকাশ করার রাজনৈতিক সৎ সাহস নেই।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় বিডিআর- এর একটি ভূমিকা আছে বলে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম এ প্রসংগে যোগ করেন, সেনাবাহিনী থেকেই বিডিআর এর নেতৃত্ব আসা তুলনামূলকভাবে উত্তম।
তবে তিনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর শ্লেষের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু সেনাসদস্যের অসাধু কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে পুরো সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করা বাঞ্ছনীয় নয়।
মহীউদ্দিন খান আলমগীর এ প্রসংগে জানান, সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে বিডিআরকে তাদের নিজস্ব অফিসার কোর গঠন করতে সাহায্য করা হবে।
তিনি আরও জানান, এই অন্তবর্তীকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সীমান্ত রক্ষার কাজ সমন্বয় করার জন্য বিডিআর এর নেতৃত্ব সামরিক বাহিনী থেকেই নিতে হবে।
তিনি মত দেন, বিডিআর এর নিজস্ব অফিসার কোর এবং সেনাবাহিনীর থেকে প্রেষনে আনা অফিসারদের সমন্বয়ে একটি মিশ্র কোর গঠন করতে হবে।
তানিয়া আমীর
tania ameer
সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি, পুলিশের ভূমিকা কি, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কি?
সেনাবাহিনীর দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের প্রতিবাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, তিনি পুরো সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করতে না চাইলেও অসাধু সেনাসদস্যের আধিক্য তাকে এই মন্তব্যে বাধ্য করেছে।
এরপর প্রশ্ন করেন শর্মিলা আহমেদ শম্পা। তিনি বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বেড়েই চলেছে। তিনি জানতে চান এর জন্য দায়ী কে?
এ প্রসংগে মি. আলমগীর বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির জন্য চিনিসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে যেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম।
তিনি মনে করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
মি. চৌধুরী মনে করেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সে বিষয়গুলি সরকারের হাতে আছে, সেটি শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঠেকাতে জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন হলেও এটি বাড়াতে সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন সে বিষয়ে সরকারকে প্রশ্ন করা হয় না।
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, ব্যয় বাড়লেও সাধারণ জনগণের আয় বাড়ছে না কেন?
আরেকজন দর্শক জানতে চান বাজার পর্যবেক্ষণের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণের পার্থক্যটি কোথায়?
দর্শকদের একজনের জানতে চান, টিসিবি’র মাধ্যমে আমদানীকৃত পণ্য ১৫ই রমজানের পর বাজারে আসলে ঐ পণ্য জনগণের কি উপকারে আসবে?
দর্শকদের একজন প্যানেল সদস্যদের কাছে জানতে চান যেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন সেদিন থেকেই পণ্যের দাম বেড়ে যায় কেন?
আরেকজন দর্শক জানান তিনি মনে করেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাস্তব সমাধানের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন না।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু পরিবর্তনশীল নিয়ামক - যোগান, আন্তর্জাতিক বাজার দর ইত্যাদি - জড়িত।
audience
তিনি মনে করেন, বাজার মূল্যকে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে গেলে মজুতদারি, বাজার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
একইসাথে তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরামর্শ দিতে গিয়ে মনে করেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
মি. ইবরাহিম এ বিষয়ে উল্লেখ করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের দূরদৃষ্টি বেশী প্রয়োজন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার সমতা আনার চেষ্টা করতে হবে।
মো. শরিফ হাসান ছিলেন পরবর্তী প্রশ্নকর্তা। তিনি জানতে চান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলির ক্ষমতা খর্ব করা উচিত কিনা?
প্রথমেই এ প্রশ্নের জবাব দেন মি চৌধুরী। তিনি জানান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম দিয়ে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়; তাই এটি খর্ব হলে সাধারণ জনগণের ক্ষমতা খর্ব হয়।
তবে তিনি মনে করেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি চালু রাখা উচিত এবং এ বিষয়ে বর্তমান সরকার একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, আমাদের দেশে সংসদীয় কমিটিগুলি খুব বেশী কার্যকর ছিলো না। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন এজন্য অনেকের কাছে মনে হতে পারে সরকার বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন।
তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সংসদীয় কমিটিগুলি কার্যকর থাকা খুবই জরুরী।
এসময় একজন দর্শক মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানোর চেয়ে এই কমিটির পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
আরেকজন দর্শক মনে করেন, এইচটি ইমাম তাঁর মন্তব্যে সংসদীয় কমিটির আইনকে লঙ্ঘন করেছেন।
একজন দর্শক মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি কার্যকর থাকলে জনগণের প্রতি সাংসদদের জবাবদিহিতা বাড়বে এবং দুর্নীতি কমবে।
মি. আলমগীর বিষয়টি নিয়ে মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উচিত নির্বাহী কোন দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত থাকা। সেইসাথে তিনি মনে করেন, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে বিচার বিভাগ থেকে আলাদা রাখার উচিত।
সংসদীয় কমিটি নিয়ে এইচটি ইমামের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি জানান, সংসদীয় আইন এবং বিধি অনুযায়ী সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যেকোন ব্যক্তিকে তলব করার অধিকার রাখে।
মহীউদ্দিন খান আলমগীর
mohiuddin khan alamgir
আমাদের মনে রাখতে হবে সংসদের দায়িত্ব কিন্তু নির্বাহী দায়িত্ব নয়।
সংলাপের সর্বশেষ প্রশ্নকারী ছিলেন আতিকুর রহমান দর্জি। তিনি জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার শক্তি, সাহস ও ক্ষমতা বর্তমান সরকারের আছে কিনা?
প্রথমেই এ প্রশ্নের জবাব দেন মি. আলমগীর। তিনি জোর গলায় বলেন, বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার শক্তি, সাহস ও ক্ষমতা সবই আছে।
তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটি জনগণের কাছে প্রতীয়মান হবে।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে তাদেরই ভোটে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করতে পারলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বর্তমানে কি অবস্থায় আছে? এবং কেনই বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত বিলম্ব হচ্ছে?
আরেকজন দর্শক জিজ্ঞাসা করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজে বর্হিবিশ্বের কোন সহযোগিতা অথবা চাপ আছে কিনা?
বিষয়টি নিয়ে মি. ইবরাহিম বলেন, সরকার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেন; তাহলে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রতিহিংসা পরিহার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব।
মি. চৌধুরী এ প্রসংগে বলেন, সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষমতা থাকলেও কর্তৃত্ব নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বিগত নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট জমা পড়া অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন।
তানিয়া আমীর জানান, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল অপরাধের বিচার করা করা জনগণের কাছে শুধু অঙ্গীকার নয়, এটি সরকারের দায়িত্ব।
এছাড়া কোন অপরাধের বিচার করতে ব্যর্থ হলে জনগণের কাছে সরকারের সেটির জবাবদিহি করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
syed md. ibrahim
সৈয়দ মো. ইবরাহিম
মি. আলমগীর এ প্রসংগে আরও যোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার সর্বময়ক্ষমতা এবং প্রশ্নাতীত কর্তৃত্ব বর্তমান সরকারের আছে।
তিনি জার্মানীর যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদাহরণ টেনে জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য জার্মান সরকারের ভোটারদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।
তিনি জানান, শুধুমাত্র সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীকে শাস্তি দেয়ার জন্য এবং বিচার কার্য স্বচ্ছ রাখার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার সাবধানতা অবলম্বন করছেন।
এ প্রসংগে মি. চৌধুরী বলেন, এদেশে যুদ্ধাপরাধীর মতো সিরিয়াস একটি বিষয়কে হালকাভাবে দেখা হয়। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক একটি অবস্থান তৈরী করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তোলা সঙ্গত নয়।
মি. আলমগীর বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের অভিযোগগুলি যত্নসহকারে তলিয়ে দেখার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।
বিষয়টি নিয়ে তানিয়া আমীর মি. চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশের সকলেই খুবই সিরিয়াস।
তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে দেয়ার জন্য একটি ট্রাইবুনাল গঠন করা এবং প্রধান তদন্তকারী ও চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার জন্য মাত্র কুড়ি মিনিট সময় প্রয়োজন। সবশেষে তিনি সরকারকে এ ব্যাপারে আরও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
(অনুষ্ঠানটি বিবিসি বাংলায় প্রচারিত হয় গত ৩০শে আগস্ট, ২০০৯ বিবিসি বাংলার ‘প্রবাহ’ অধিবেশনে৻)
powered by digitalfamily
Non profit organization
Digital Social Tools
Digital Family is a social application of digital social network(dns)
Digital Social Network(DSN) is the sign of freedom.
and Digitalfamily is the freedom of source code.
and Digitalfamily is the freedom of source code.
Digitalfamily free online social service
| Now make your email account from Digitalfamily it's Free for all. join with us and enjoy with daily updated news,video,mp3 songs,movies,games.....more . Every Thing is free for you.This is social service for the humanity.So it's your right. Click on sign up and help yourself |
Monday, November 30, 2009
Subscribe to:
Comments (Atom)
