powered by digitalfamily
Non profit organization
Digital Social Tools
Digital Family is a social application of digital social network(dns)
and Digitalfamily is the freedom of source code.
Digitalfamily free online social service
| Now make your email account from Digitalfamily it's Free for all. join with us and enjoy with daily updated news,video,mp3 songs,movies,games.....more . Every Thing is free for you.This is social service for the humanity.So it's your right. Click on sign up and help yourself |
Saturday, December 5, 2009
history banner
জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচী:
১৭১২ - বৃটিশ লোহার কারবারি টমাস নিউকোমেন কর্তৃক প্রথম স্টীম ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন, পরে যার ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়৻ তাঁর এই আবিষ্কার শিল্প বিপ্লব ও শিল্প-কারখানায় অধিক হারে কয়লা ব্যবহারের পথ সুগম করে।
১৮০০ - বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়৻
১৮২৪ - ফরাসী পদার্থবিদ যোসেফ ফুরিয়ার পৃথিবীর স্বাভাবিক 'গ্রীনহাউস প্রভাব' ব্যাখ্যা করেন এ ভাবে: ``পৃথিবীর তাপমাত্রা বায়ুমন্ডলের অবস্থানের কারণে বেড়ে যেতে পারে। কারণ, তাপ আলোক অবস্থায় বায়ু ভেদ করতে যতটা বাধাগ্রস্থ হয়, ফিরতি পথে রূপান্তরিত অনুজ্জ্বল তাপ হিসেবে তার থেকে বেশী বাধাগ্রস্থ হয়।``
১৮৬১ - আইরিশ পদার্থবিদ জন টিনডাল প্রমাণ করেন, জলীয় বাস্প এবং অন্য কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস গ্রীনহাউস প্রভাব তৈরী করে। তিনি তার বক্তব্য এভাবে শেষ করেন: “মানুষের জন্য যেমন কাপড় লাগে, এই জলীয়বাষ্পের চাদর ইংল্যান্ডের গাছগাছালির জন্য তার চেয়েও প্রয়োজনীয়‘‘। একশ বছরেরও বেশি সময় পরে তাঁর সম্মানে ইংল্যান্ডের একটি প্রখ্যাত জলবায়ু গবেষণা সংস্থার নাম টিন্ডাল সেন্টার রাখা হয়।
polar bear
১৮৮৬ - কার্ল বেন্জ 'মটরভাগেন' প্রথমবারের মত জনসম্মখে নিয়ে আসেন। সাধারণত একেই প্রথম সত্যিকারের মটর গাড়ি বলা হয়।
১৮৯৬ - সুইডিশ রসায়নবিদ স্ভেনতে অ্যারহেনিয়াস এই সিদ্ধানত্দ উপনীত হন যে, শিল্পায়নের যুগে কয়লার ব্যবহার স্বাভাবিক গ্রীনহাউস প্রভাব বাড়িয়ে দেবে। তিনি ধারণা করেন এটা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তাঁর সিদ্ধান্তগুলো ছিল অনেকটা এরকম: 'মানব সৃষ্ট গ্রীন হাউস'-এর সম্ভাব্য আকার কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বিগুণ হলে তাপমাত্রা সামান্য কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে যা আধুনিককালের জলবায়ু মডেলগুলোর মতই ।
১৯০০ - আরেকজন সুইডিশ, নুট অ্যাংস্ট্রম, বায়ুমন্ডলে উপস্থিত সামান্য ঘনমাত্রার কার্বন ডাই অক্সাইড কর্তৃক বর্নালীর অবলোহিত অংশগুলো ব্যাপক ভাবে শুষে নেয়ার ঘটনাটি আবিষ্কার করেন। যদিও এই আবিস্কারের তাৎপর্য তিনি অনুধাবন করতে পারেননি, তবুও তিনি প্রমাণ করেন, যৎসামান্য গ্রীন হাউস গ্যাসও উষ্ণায়ন ঘটাতে পারে।
১৯২৭ - জীবাশ্ব জ্বালানী পুড়িয়ে এবং শিল্প-কারখানা থেকে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ বছরে একশ কোটি টন এ পৌঁছে৻
১৯৩০ - বিশ্বের জনসংখ্যা ২০০ কোটিতে পৌঁছে৻
১৯৩৮ - পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ১৪৭টি আবহাওয়া স্টেশনের রেকর্ড ব্যবহার করে বৃটিশ প্রকৌশলী গাই ক্যালেন্ডার প্রমাণ করে দেখান, গত ১০০ বছর জুড়েই পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো দেখান পুরো সময় জুড়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনমাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং একে তিনি উষ্ণায়নের কারণ বলে উল্লেখ করেন।
১৯৫৫ - প্রথম দিককার কম্পিউটারসহ নতুন প্রজন্মের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মার্কিন গবেষক গিলবার্ট প্ল্যাস বিভিন্ন গ্যাস কর্তৃক অবলোহিত রশ্মি শোষণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেন। তিনি এই সিদ্ধান্তে আসেন, কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনমাত্রা দ্বিগুণ হলে তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রী সে. বাড়বে।
gas
১৯৫৭ - মার্কিন সমূদ্রবিজ্ঞানী রজার রেভেল এবং রসায়নবিদ হান্স সুস প্রমাণ করেন, অনেকে যেমন ধারণা করেছিলেন, বায়ুমন্ডলে যে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত হচ্ছে তার সবটুকু সাগর শুষে নেবে না। তিনি লিখছেন, ``মানব জাতি বর্তমানে বৃহৎ পরিসরে একটা ভৌগোলিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে ...৻``
১৯৫৮ - নিজের তৈরী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে চার্লস ডেভিড (ডেভ) কিলিং হাওয়াই'র মাওনা লোয়া এবং অ্যান্টার্কটিকায় কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণের প্রণালীবদ্ধ পরিমাপ শুরু করেন। চার বছরের মধ্যে প্রকল্পটি -যা আজো চলছে - দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করে যে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনমাত্রা বাড়ছে।
১৯৬০ - পৃথিবীর জনসংখ্যা ৩০০ কোটিতে পৌঁছে৻
১৯৬৫ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের একটি উপদেষ্টা কমিটি হুঁশিয়ার করে বলে যে গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রভাব একটা 'বাস্তব গুরুত্বপূর্ন' বিষয়।
১৯৭২ - স্টকহোমে জাতিসংঘের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন সামান্যই গুরুত্ব পায়। আলোচনা রাসায়নিক দূষণ, পারমানবিক বোমা পরীক্ষা আর তিমি শিকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। পরিণতিতে জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রম (ইউএনইপি) গঠিত হয়।
১৯৭৫ - পৃথিবীর জনসংখ্যা ৪০০ কোটিতে পৌঁছায়৻
১৯৭৫- মার্কিন বিজ্ঞানী ওয়ালেস ব্রোকার তাঁর একটা গবেষণাপত্রের শিরোনাম 'বৈশ্বিক উষ্ণায়ন' দিয়ে এই দুটি শব্দকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিয়ে আসেন।
১৯৮৭ - পৃথিবীর জনসংখ্যা ৫০০ কোটি হয়৻
১৯৮৭ - ওজন স্তরের ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে মন্ট্রিল প্রোটকল সই হয়। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করে এই চুক্তি হয়নি, তবু এটা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের উপর কিয়োটো প্রোটকলের চাইতেও অধিক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়।
১৯৮৮ - জলবায়ু পরিবর্তনের আলামত সংগ্রহ এবং মূল্যায়নের জন্য জলাবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকার পরিষদ (আইপিসিসি) গঠন করা হয়।
flooding
১৯৮৯ - কেমিস্ট্রিতে ডিগ্রীধারী যুক্তরাজ্যের প্রধাণমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার জাতিসংঘে এক বক্তৃতায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ''আমরা লক্ষ্য করছি বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ... এর পরিণতি হল ভবিষ্যতে মৌলিকতর ও বহুবিস্তৃত পরিবর্তন, যা এযাবতকালে আমাদের অভিজ্ঞতার বাইরে।'' তিনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ঐকমত্যের আহ্বান জানান।
১৯৮৯ - জীবাশ্ব জ্বালানী পুড়িয়ে এবং শিল্প-কারখানা থেকে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ বছরে ৬০০ কোটি টনে পৌঁছে।
১৯৯০ - আই পি সি সি প্রথম প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০০ বছরে পৃথিবীর উষ্ণতা ০.৩ থেকে ০.৬ ডিগ্রী সে. বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের কারনে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণের ফলে বায়ুমন্ডলে স্বাভাবিকভাবে তা যুক্ত হয় এবং নিশ্চিতভাবেই এই সংযুক্তি উষ্ণায়ন ঘটাবে।
১৯৯২ - রিও ডি জেনিরোতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সরকারগুলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একটা সমঝোতা কাঠামোতে ঐক্যবদ্ধ হতে সম্মত হয়। এর প্রধাণ উদ্দেশ্য হল 'জলবায়ু ব্যবস্থায় মানুষের মারাত্নক হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা যাতে বায়ুমন্ডলে গ্রীনহাউস গ্যাসের ঘনমাত্রা একটা নির্দিষ্ট স্তরে স্থিতিশীল রাখা যায়।' উন্নত দেশগুলো গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের হার ১৯৯০ সালের মাত্রায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়।
১৯৯৫ - আইপিসিসি তার দ্বিতীয় প্রতিবেদনে 'পৃথিবীর জলবায়ুর উপর মানব প্রভাবের একটা নির্নয়যোগ্য' পরিমাপ প্রস্তাব করে। যেখানে প্রথম সুনির্দিষ্টভাবে মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী করা হয়।
১৯৯৭ - কিয়োটো প্রোটকল অনুমোদন পায়। উন্নত জাতিগুলো স্ব স্ব লক্ষ্যমাত্রার ব্যাপক ভিন্নতা সমেত ২০০৮-২০১২ সালের মধ্যে নির্গমণ গড়ে ৫ শতাংশ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেয়। তৎক্ষণাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এই চুক্তি অনুমোদন করবে না বলে জানিয়ে দেয়।
১৯৯৮ - বৈশ্বিক উষ্ণতার সাথে শক্তিশালী এল নিনো'র প্রভাব যুক্ত হয়ে বছরটিকে উষ্ণতম বছরে পরিণত করে। এ বছর গড় তাপমাত্রা ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চাইতে ০.৫২ ডিগ্রী সে. বেশী ছিলো।
১৯৯৮ - বিতর্কিত 'হকি স্টিক' গ্রাফ প্রকাশিত হয় যেখানে উত্তর গোলার্ধের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে গত এক হাজার বছরের তুলনায় স্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । পরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উৎসাহে কাজটি দুই দফা তদন্তের বিষয় হয়ে ওঠে।
১৯৯৯ - পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬০০ কোটিতে পৌঁছে৻
২০০১ - প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রকে কিয়োটো আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে আনেন।
২০০১ - আইপিসিসি তার তৃতীয় প্রতিবেদনে বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে উষ্ণায়নের পেছনে 'নতুন এবং আরো জোড়ালো প্রমাণ' তুলে ধরে, এবং এজন্য মানুষের গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনকে প্রধাণ কারন হিসেবে চিহ্নিত করে।
north pole
২০০৫ - কিয়োটো প্রোটকলের সাথে সম্পৃক্ত অবশিষ্ট দেশগুলোর জন্য এটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়।
২০০৫ - যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার জি-৮ এর প্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর মেয়াদকালের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বেছে নেন।
২০০৬ - স্টার্ন রিভিউ এই সিদ্ধান্তে আসে যে জলবায়ু পরিবর্তনকে অনিয়ন্ত্রিত রেখে দিলে বিশ্ব জিডিপি'র ২০% পর্যন্ত ক্ষতি হতে পারে। অথচ এর হ্রাস টেনে ধরতে ব্যয় হবে বিশ্ব জিডিপি'র ১% এর কম।
২০০৬ - জীবাশ্ব জ্বালানী পুড়িয়ে এবং শিল্প-কারখানা থেকে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ বছরে ৮০০ কোটি টনে পৌঁছে।
২০০৬ - আইপিসিসি'র চতুর্থ প্রতিবেদন জানাচ্ছে, আধুনিককালে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের তৎপরতা গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণ ৯০% এর জন্য বেশি দায়ী।
২০০৭ - আইপিসিসি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পান। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন ও প্রচারে অবদান, এবং এ ধরণের পরিবর্তন রোধ করতে সকল সামর্থ নিয়োজিত করার জন্য তাদের এ পুরষ্কার দেয়া হয়।
২০০৭ - বালিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের আলোচনা সভায় সরকারগুলো ২০০৯-এর শেষ নাগাদ একটা নতুন চুক্তি সংঘটনের জন্য দুই বছর মেয়াদী 'বালি রোডম্যাপ' এ সম্মত হয়।
২০০৮ - পর্যবেক্ষন শুরুর অর্ধ শতক পরে মোনা লোয়ায় কিলিং প্রকল্প জানাচ্ছে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনমাত্রা ১৯৫৮ সালের প্রতি ১০ লক্ষে ১৩৫ ভাগ থেকে বেড়ে ২০০৮ সালে এসে ৩৮০ ভাগ হয়েছে।
২০০৮ - দায়িত্ব নেয়ার দু‘মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিশ্ববাসীর সাথে নিজের বলিষ্ঠ অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
২০০৯ - চীন বিশ্বের সর্বাধিক গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমণকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যায়। যদিও পার ক্যাপিটা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বেশ এগিয়ে।
২০০৯ - ১৯২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকে সমবেত হন৻
ভারতের প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধের প্রথম আঘাত বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ওপর পড়বে বলেই আশংকা করছেন সেখানকার জনগন৻
তাদের কাছে এখনও বৈজ্ঞানিক তথ্যের অভাব রয়েছে, কিন্তু তারা লোকমুখে জেনেছেন যে টিপাইমুখ এলাকায় বরাক নদীর ওপর ভারত যে বাঁধ তৈরী করছে তাতে সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক এক পরিবেশ সংকট তৈরী হবে৻
প্রতিবেদনটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন:
বাংলাদেশের উত্তর-পুর্ব সীমান্তের শেষ প্রান্তে জকিগঞ্জ এলাকা। এই উপজেলা শহর থেকেও ১২ কিলোমিটার দুরে ভারতের আমলশীদ নামের এলাকায় বরাক নদীর মুখ। এইখানেই ভারতের বরাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে সুরমা এবং কুশিয়ারা নাম নিয়েছে।
সীমান্তের এই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে নদীর অবস্থান দেখিয়ে দিতে দিতে স্থানীয় সাংবাদিক ফয়জুর রহমান খসরু বললেন, জীবনের সাত দশক পাড়ি দিয়ে এসে তিনি এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারন, টিপাইমুখ এলাকায় বরাক নদীতে বাঁধ দেয়া হলে জকিগঞ্জ এলাকার মানুষ হবেন তার প্রথম শিকার৻
people speaking to the bbc
বরাক নদীর জলে হাওরের মাছ আর কৃষিই হচ্ছে এই এলাকার মানুষের জীবিকার মুল শক্তি।
নদীর তীর ঘেঁষে বসবাসকারী মানুষের সাথে কথা বললে মনে হয়, এখন তাদের সবার মাঝেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে৻
ছয় সন্তান আর স্বামীসহ আট জনকে নিয়ে আমেনা বেগমের সংসার। সংসার চালিয়ে নেয়ার অন্যতম একটি অবলম্বন হচ্ছে হাওরের মাছ। কিন্তু এবার বর্ষা মৌসুমেও নদীতে পানি সেরকম আসেনি। আমেনা বেগমের বসতবাড়ি, হাওর, জমি সবই শুকনো।
গতবছর থেকেই এমনটা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি এবং লোকমুখে শুনে তাঁর ধারনা হয়েছে ভারত বরাক নদীতে টিপাইমুখ এলাকায় বাঁধ তৈরী সম্পন্ন করেছে৻ আমেনা বেগমের মতো তাঁর প্রতিবেশীদেরও একই রকম ধারনা। তাঁরাও লোকমুখে শুনেছেন, ভারত টিপাইমুখ এলাকায় বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করছে।
৮৫ বছর বয়সী আব্দুল মাজেদ মিয়ার বসতবাড়ি বহুবার ভেঙ্গেছে নদী-ভাঙ্গনে। বসতবাড়ির জায়গা পরিবর্তন করতে হলেও সুরমা তীরবর্তী এলাকাতেই থেকেছেন সবসময়। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তাঁর মাঝেও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে যে, ভারত বরাক নদীতে বাঁধ দিয়ে সিলেট অঞ্চল শুকিয়ে ফেলছে।
বরাক নদীতে বাঁধ হলে জকিগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জ এবং গোটা সিলেট অঞ্চল পড়বে ক্ষতির মুখে। বরাক নদী দুই ভাগে ভাগ হয়ে সুরমা কুশিয়ারা নাম নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে আবার ভৈরব এলাকায় এসে এক হয়ে মেঘনা নাম নিয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রধান এই নদী মেঘনাতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এই বাঁধ- এই আশংকা থেকে সিলেটে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত টিপাইমুখ প্রকল্প প্রতিরোধ কমিটির নেতা বেদানন্দ ভট্টাচার্য বলছেন, তাঁরা স্থানীয়ভাবে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করছেন।
river surma
ঢাকা থেকে বিভিন্ন সংগঠন সেখানে গিয়ে লংমার্চের মতো বড়ধরনের কর্মসুচী পালন করেছে। সিলেট বিভাগ উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ তিন দিন ধরে লংমার্চ করেছে ওই এলাকায়। কিছুদিন আগে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীও সেখানে লংমার্চ এবং নৌমার্চ কর্মসুচী পালন করেছে।
সিলেটে বিরোধী দল বিএনপি এব্যাপারে যেমন সোচ্চার তেমনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী যাঁরা আছেন তারাও কিন্তু টিপাইমুখ প্রকল্পের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান তুলে ধরছেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান বলছেন, বিষয়টিতে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে এগুনো উচিত বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে সরকার যেসব তথ্য তুলে ধরেছে তাতে আশ্বস্থ হতে পারেছেন না সিলেট অঞ্চলের মানুষ। সিলেটের জকিগঞ্জে একটি বাজারে ব্যবসায়ী মনোয়ার আলীর সাথে কথা হচ্ছিলো৻ তাঁর বক্তব্য হচ্ছে তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি বেড়েই চলেছে। তাঁর সাথে কথা বলার সময় সেখানে জড়ো হয়েছিলেন আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারাও একই রকম বক্তব্য তুলে ধরেন।
সুরমা এবং কুশিয়ারা নদীর পাড়ের মানুষ টিপাইমুখ প্রকল্পের ব্যাপারে সঠিক তথ্য এবং পরিস্কার চিত্র জানতে চান। দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় রাজনীতিকরাও একই ভাবে ভাবেন বলে মনে হয়েছে।
Monday, November 30, 2009
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার--- Follow up
sanglap panelists
প্যানেল সদস্যরা (বাঁ থেকে): মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা, তানিয়া আমীর এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
এবারের বাংলাদেশ সংলাপের আয়োজন ছিলো ঢাকায় গত ২৯শে আগস্ট, ২০০৯ তারিখে। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এবারের সংলাপের প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য মহীউদ্দিন খান আলমগীর, বিএনপি নেতা ও জাতীয় সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর।
আমন্ত্রিত দর্শকরা মিলনায়তনে প্রবেশের সময় যে লিখিত প্রশ্নগুলো জমা দেন প্রতিবারের মতো তা থেকেই বাছাই করে নেয়া হয় এবারের বাংলাদেশ সংলাপের প্রশ্ন সমূহ। প্যানেল সদস্যরা উত্থাপিত প্রশ্নের উপর তাৎক্ষনিকভাবে তাদের বক্তব্য কিংবা মতামত দেন। সেই সাথে উপস্থিত অন্য দর্শকরাও সেইসব প্রশ্নের উপর বিভিন্ন মতামত প্রদানের এবং সম্পূরক প্রশ্ন করার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানের প্রথম প্রশ্ন করেন জাহিদ হোসেন। তিনি জানতে চান সেনা অফিসার কর্তৃক বিডিআর এর নেতৃত্ব গ্রহন সমস্যার সমাধানের আগেই বর্তমান বিডিআর পুনর্গঠনের পদক্ষেপ কতটা উপযোগী এবং যৌক্তিক?
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী
salahuddin quader chowdhury
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আসলেই কি সরকারের কর্তৃত্ব আছে?
বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই বলেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি জানান, বিডিআর বর্তমান কর্মপরিধি এবং গঠনের উদ্দেশ্যের কথা বিবেচনা করলে সেখানকার নেতৃত্বে সেনা অফিসার নিয়োগ দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই।
তবে তিনি মনে করেন, বিডিআর বাহিনীকে পুনর্গঠনের কোন দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা থাকলে কর্মপরিধি পরিবর্তন করে এখন থেকেই ধীরে ধীরে সেটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে হবে।
তানিয়া আমীর এ বিষয়ে মনে করেন, জাতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, এবং সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাংবিধানিক ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে।
তিনি প্রশ্ন তুলেন, বিডিআর এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে না নিয়ে কেন প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া যাবে না?
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মূল কারণ উম্মোচিত হয়েছে কিনা?
দর্শকদের মধ্যে আরেকজন তানিয়া আমীরের সাথে একমত পোষণ করেন।
আরেকজন দর্শক বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সরকারী তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এ বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে সাধারণ মানুষ জানতে পারছেন না।
তিনি জানতে চান বিডিআর বিদ্রোহের নেপথ্যে সেনাবহিনীর কেউ জড়িত থাকলে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে কিনা?
audience
আরেকজন দর্শক মনে করেন, বিডিআর এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর কোন কর্মকর্তা নিয়োগ করা সমীচীন নয়।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এ প্রসংগে মনে করেন, বিডিআর এর নেতৃত্ব সেনাবাহিনীর হাতে না দিয়ে নিজস্ব কর্মকর্তা দিয়ে বিডিআরকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত।
তিনি শ্লেষের সাথে উল্লেখ করেন, দেশবাসীকে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দেয়া, জমি-ফ্লাট কেনা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা এবং চাঁদাবজিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার পর সীমান্ত রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি মনে করেন, বিডিআর অসন্তোষের কারণ এবং এর নেপথ্য নায়কদের নির্ণয় করা গেলেও সরকারের এটি প্রকাশ করার রাজনৈতিক সৎ সাহস নেই।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় বিডিআর- এর একটি ভূমিকা আছে বলে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম এ প্রসংগে যোগ করেন, সেনাবাহিনী থেকেই বিডিআর এর নেতৃত্ব আসা তুলনামূলকভাবে উত্তম।
তবে তিনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর শ্লেষের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, নির্দিষ্ট কিছু সেনাসদস্যের অসাধু কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে পুরো সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করা বাঞ্ছনীয় নয়।
মহীউদ্দিন খান আলমগীর এ প্রসংগে জানান, সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে বিডিআরকে তাদের নিজস্ব অফিসার কোর গঠন করতে সাহায্য করা হবে।
তিনি আরও জানান, এই অন্তবর্তীকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সীমান্ত রক্ষার কাজ সমন্বয় করার জন্য বিডিআর এর নেতৃত্ব সামরিক বাহিনী থেকেই নিতে হবে।
তিনি মত দেন, বিডিআর এর নিজস্ব অফিসার কোর এবং সেনাবাহিনীর থেকে প্রেষনে আনা অফিসারদের সমন্বয়ে একটি মিশ্র কোর গঠন করতে হবে।
তানিয়া আমীর
tania ameer
সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কি, পুলিশের ভূমিকা কি, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কি?
সেনাবাহিনীর দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের প্রতিবাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, তিনি পুরো সেনাবাহিনীকে দোষারোপ করতে না চাইলেও অসাধু সেনাসদস্যের আধিক্য তাকে এই মন্তব্যে বাধ্য করেছে।
এরপর প্রশ্ন করেন শর্মিলা আহমেদ শম্পা। তিনি বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বেড়েই চলেছে। তিনি জানতে চান এর জন্য দায়ী কে?
এ প্রসংগে মি. আলমগীর বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির জন্য চিনিসহ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে যেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ কম।
তিনি মনে করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
মি. চৌধুরী মনে করেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সে বিষয়গুলি সরকারের হাতে আছে, সেটি শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঠেকাতে জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন হলেও এটি বাড়াতে সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন সে বিষয়ে সরকারকে প্রশ্ন করা হয় না।
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, ব্যয় বাড়লেও সাধারণ জনগণের আয় বাড়ছে না কেন?
আরেকজন দর্শক জানতে চান বাজার পর্যবেক্ষণের সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণের পার্থক্যটি কোথায়?
দর্শকদের একজনের জানতে চান, টিসিবি’র মাধ্যমে আমদানীকৃত পণ্য ১৫ই রমজানের পর বাজারে আসলে ঐ পণ্য জনগণের কি উপকারে আসবে?
দর্শকদের একজন প্যানেল সদস্যদের কাছে জানতে চান যেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন সেদিন থেকেই পণ্যের দাম বেড়ে যায় কেন?
আরেকজন দর্শক জানান তিনি মনে করেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাস্তব সমাধানের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন না।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু পরিবর্তনশীল নিয়ামক - যোগান, আন্তর্জাতিক বাজার দর ইত্যাদি - জড়িত।
audience
তিনি মনে করেন, বাজার মূল্যকে সহনশীল পর্যায়ে রাখতে গেলে মজুতদারি, বাজার দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
একইসাথে তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরামর্শ দিতে গিয়ে মনে করেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
মি. ইবরাহিম এ বিষয়ে উল্লেখ করেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের দূরদৃষ্টি বেশী প্রয়োজন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার সমতা আনার চেষ্টা করতে হবে।
মো. শরিফ হাসান ছিলেন পরবর্তী প্রশ্নকর্তা। তিনি জানতে চান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলির ক্ষমতা খর্ব করা উচিত কিনা?
প্রথমেই এ প্রশ্নের জবাব দেন মি চৌধুরী। তিনি জানান, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম দিয়ে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়; তাই এটি খর্ব হলে সাধারণ জনগণের ক্ষমতা খর্ব হয়।
তবে তিনি মনে করেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি চালু রাখা উচিত এবং এ বিষয়ে বর্তমান সরকার একটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, আমাদের দেশে সংসদীয় কমিটিগুলি খুব বেশী কার্যকর ছিলো না। তিনি মনে করেন, বর্তমান সরকার সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিচ্ছেন এজন্য অনেকের কাছে মনে হতে পারে সরকার বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন।
তিনি মনে করেন, গণতন্ত্রে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সংসদীয় কমিটিগুলি কার্যকর থাকা খুবই জরুরী।
এসময় একজন দর্শক মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ক্ষমতা বাড়ানো বা কমানোর চেয়ে এই কমিটির পদ্ধতিগত পরিবর্তনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত।
আরেকজন দর্শক মনে করেন, এইচটি ইমাম তাঁর মন্তব্যে সংসদীয় কমিটির আইনকে লঙ্ঘন করেছেন।
একজন দর্শক মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলি কার্যকর থাকলে জনগণের প্রতি সাংসদদের জবাবদিহিতা বাড়বে এবং দুর্নীতি কমবে।
মি. আলমগীর বিষয়টি নিয়ে মনে করেন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের উচিত নির্বাহী কোন দায়িত্ব নেয়া থেকে বিরত থাকা। সেইসাথে তিনি মনে করেন, ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে বিচার বিভাগ থেকে আলাদা রাখার উচিত।
সংসদীয় কমিটি নিয়ে এইচটি ইমামের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি জানান, সংসদীয় আইন এবং বিধি অনুযায়ী সংসদীয় স্থায়ী কমিটি যেকোন ব্যক্তিকে তলব করার অধিকার রাখে।
মহীউদ্দিন খান আলমগীর
mohiuddin khan alamgir
আমাদের মনে রাখতে হবে সংসদের দায়িত্ব কিন্তু নির্বাহী দায়িত্ব নয়।
সংলাপের সর্বশেষ প্রশ্নকারী ছিলেন আতিকুর রহমান দর্জি। তিনি জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার শক্তি, সাহস ও ক্ষমতা বর্তমান সরকারের আছে কিনা?
প্রথমেই এ প্রশ্নের জবাব দেন মি. আলমগীর। তিনি জোর গলায় বলেন, বর্তমান সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার শক্তি, সাহস ও ক্ষমতা সবই আছে।
তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটি জনগণের কাছে প্রতীয়মান হবে।
তানিয়া আমীর এ প্রসংগে জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করে তাদেরই ভোটে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি মনে করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করতে পারলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসময় একজন দর্শক জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বর্তমানে কি অবস্থায় আছে? এবং কেনই বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এত বিলম্ব হচ্ছে?
আরেকজন দর্শক জিজ্ঞাসা করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজে বর্হিবিশ্বের কোন সহযোগিতা অথবা চাপ আছে কিনা?
বিষয়টি নিয়ে মি. ইবরাহিম বলেন, সরকার যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেন; তাহলে দেশের প্রচলিত আইন এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রতিহিংসা পরিহার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব।
মি. চৌধুরী এ প্রসংগে বলেন, সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষমতা থাকলেও কর্তৃত্ব নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বিগত নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট জমা পড়া অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন।
তানিয়া আমীর জানান, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল অপরাধের বিচার করা করা জনগণের কাছে শুধু অঙ্গীকার নয়, এটি সরকারের দায়িত্ব।
এছাড়া কোন অপরাধের বিচার করতে ব্যর্থ হলে জনগণের কাছে সরকারের সেটির জবাবদিহি করা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
syed md. ibrahim
সৈয়দ মো. ইবরাহিম
মি. আলমগীর এ প্রসংগে আরও যোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার সর্বময়ক্ষমতা এবং প্রশ্নাতীত কর্তৃত্ব বর্তমান সরকারের আছে।
তিনি জার্মানীর যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদাহরণ টেনে জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য জার্মান সরকারের ভোটারদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।
তিনি জানান, শুধুমাত্র সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীকে শাস্তি দেয়ার জন্য এবং বিচার কার্য স্বচ্ছ রাখার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার সাবধানতা অবলম্বন করছেন।
এ প্রসংগে মি. চৌধুরী বলেন, এদেশে যুদ্ধাপরাধীর মতো সিরিয়াস একটি বিষয়কে হালকাভাবে দেখা হয়। তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক একটি অবস্থান তৈরী করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি তোলা সঙ্গত নয়।
মি. আলমগীর বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের অভিযোগগুলি যত্নসহকারে তলিয়ে দেখার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী স্বচ্ছভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে।
বিষয়টি নিয়ে তানিয়া আমীর মি. চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশের সকলেই খুবই সিরিয়াস।
তিনি জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে দেয়ার জন্য একটি ট্রাইবুনাল গঠন করা এবং প্রধান তদন্তকারী ও চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়ার জন্য মাত্র কুড়ি মিনিট সময় প্রয়োজন। সবশেষে তিনি সরকারকে এ ব্যাপারে আরও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
(অনুষ্ঠানটি বিবিসি বাংলায় প্রচারিত হয় গত ৩০শে আগস্ট, ২০০৯ বিবিসি বাংলার ‘প্রবাহ’ অধিবেশনে৻)
Sunday, November 29, 2009
বুশের ব্যর্থতার নতুন রিপোর্ট
Osama Bin Laden
মার্কিন সেনেটে পেশ করা এক রিপোর্টে বলা হয়েছে দু হাজার এক সালের শেষের দিকে আফাগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বহিনী প্রায় ওসামা বিন লাদেনের নাগাল পেয়ে গিয়েছিলো কিন্তু বুশ প্রশাসন, আল কায়দার নেতাকে খুঁজে বের করার মতো যথেষ্ঠ সামরিক শক্তি মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত নেয়৻
ডেমোক্রাটিক পার্টির তরফ থেকে প্রস্তুত করা এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ওসামা বিন লাদেন যখন সবচাইতে দুর্বল অবস্থায় ছিলেন তখন তাঁকে ধরতে না পারায় আফগান্স্তিনে দীর্ঘ বিদ্রোহী তৎপরতা, এবং পাকিস্তানে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয়৻
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে তালেবানকে পরাজিত করা এবং ওসামা বিন লাদেনকে হয় ধরে বা মেরে ফেলে আল কায়দাকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে তড়িৎ গতিতে এক তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৻ কিন্তু সামরিক কৌশল ছিল ত্রুটিপূর্ণ৻
রিপোর্টে বলা হয়েছে আল কায়দা নেতা সে সময় তোরা বোরা পার্বাত্য এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন , কিন্তু তাঁকে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় হাজার হাজার সৈন্য থাকলেও বুশ প্রশাসন তাদের পাঠাতে ব্যার্থ হয়৻
বরং, আফগান মিলিশিয়াদের সাথে যে ১০০রও কম মার্কিন কোমান্ডো কাজ করছিল তারা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে৻
‘‘ওসামা বিন লাদেন বেঁচে যাওয়ায় তখন থেকে সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে তালেবান আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে,‘‘ বলে এই রিপোর্টে বলা হয়েছে৻
বিবিসির সংবাদদাতা মাইক উলরিজ বলছেন আল কায়দার নেতাকে ধরতে ব্যর্থ হওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে সময় এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হল সেটা৻
তিনি বলছেন এ ধরণের অভিযোগ আগেও করা হয়েছে, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানে আরও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার ঠিক আগে এই অভিযোগ যে আবার তোলা হল সেটা গুরুত্বপূর্ণ৻
সেনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে ডেমোক্রেট দলের প্রাধান্য
Friday, November 27, 2009
DIGITAL WORLD NEWS BANGLA EDITION
কোপেনহেগেনে আগামী মাসের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের আগে এনিয়ে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক আলোচনা ক্রমশই আরও গতি পাচ্ছে৻
বিডিআর বিদ্রোহের বিচার শুরু
শুনুন
বিশ্ব সংবাদ
প্রভাতী
প্রত্যূষা
প্রবাহ
পরিক্রমা
সংলাপ
ইন্টারনেটে কীভাবে শুনতে হয়
Climate Change Global Warming প্রতিশ্রুত অর্থ মেলেনি
জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় ধনী দেশগুলোর আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি কতটা পুরণ হয়েছে সেটা স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না৻
garment workers in bangladesh দ্বিতীয় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা
বিশ্বমন্দার ধাক্কা সামাল দিতে রপ্তানী খাতের জন্যে আরো এক হাজার কোটি টাকার নতুন একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার৻
বিপন্ন পরিবেশ
পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে ঢাকায় ফটো প্রদর্শনী
বিলেতের ছাত্রজীবন
ব্রিটেনে বাংলাদেশী ছাত্রদের জীবনের গল্প
বাংলাদেশ সংলাপ
চতুর্থ পর্যায়ে বাংলাদেশ সংলাপ, আপনার শহরে
ইংরেজী শেখার আসর
গ্রামার ও ভোকাবুলারি
ভাব বিনিময়
বিবিসির ইংরেজী খবরের ভাষা
রেডিওতে ইংরেজী শিখুন
দেখুন এবং শুনুন
ব্যবসা-বাণিজ্যে ইংরেজী
ইংরেজী কুইজ
দেশ পরিচিতি
শ্রীলংকা
বাংলাদেশ
ভারত
পাকিস্তান
নেপাল
যুক্তরাজ্য
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
BBC News South AsiaChina carbon cuts pressure India
Ferry sinks in south Bangladesh
UK 'to block Sri Lanka summit bid'
BBC Sport Latest CricketEngland fall to crushing defeat
Strauss sees signs of improvement
New Zealand v Pakistan latest score
আবহাওয়া
পূর্বাভাষ
বিভিন্ন শহরের আবহাওয়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন
টিপাইমুখ বিতর্ক
প্রস্তাবিত বাঁধ নিয়ে উদ্বিগ্ন বৃহত্তর সিলেট
টিপাই বিতর্ক
বাঁধ নিয়ে ভারতেও চলছে বাক-বিতন্ডা
Friday, November 13, 2009
Live HTTP Headers 0.15
by Daniel Savard, Nikolas Coukouma
View HTTP headers of a page and while...
| Version | 0.15 |
|---|---|
| Works with | Firefox: 0.8 – 3.5.* |
| Updated | June 17, 2009 |
| Developers | Daniel Savard, Nikolas Coukouma |
| Homepage | http://livehttpheaders.mozdev.org/ |
| Rating | Rated 5 out of 5 stars 55 reviews |
| Downloads | 1,783,319 |
- Digg this! 55 diggs
- Post to Facebook 36 posts
- Add to Delicious 25 posts
- Post to MySpace 17 posts
- Share on FriendFeed 25 shares
- Post to Twitter 8 tweets
More about this add-on
View HTTP headers of a page and while browsing.
Support
Support for this add-on is provided by the developer at http://livehttpheaders.mozdev.org/
Reviews
Very useful tool.
Only one interesting catch, when the this add-on is enabled, it causes firefox to lock any uploaded files in the filesystem until FF is closed. (even if they add-on isn't specifically running).
Rated 4 out of 5 stars by mrGrazy on November 9, 2009
LOVE IT!
I agree with other reviewers that this add-on is an indispensable part of my development, debugging, and sometimes even just web browsing. Thank you so much for this addition! I personally feel that the tool is self-explanatory and doesn't require much documentation, but of course it would be nice. Also, I agree that "capture response body" would be a very valuable feature add.
Rated 5 out of 5 stars by krojo on October 22, 2009
response body content
it's cool, but sometimes we need watch response body content. i wish this option will be included in future
Rated 4 out of 5 stars by victor song on October 19, 2009
What do you think?
Please do not post bug reports in reviews. We do not make your email address available to add-on developers and they may need to contact you to help resolve your issue.
See the support section to find out where to get assistance for this add-on.
Release Notes
* Bug #15826 (#15378) fixed: Content-Type header duplicated during POST replay
* Fixed a problem with PageInfo and SeaMonkey 2.0 alpha
* Updated version metadata to indicate compatibility with Firefox 3.5
Source Code License What's this?
Sunday, November 8, 2009
Microsoft launched WebsiteSpark, a program designed to help Web development and design companies for three years with no up-front cost. The program provides businesses with Microsoft software and solutions, related tools, training and support, plus connecting Web professionals and hosters to an ecosystem of customers, partners, and other professionals with complementary technologies. There are, however, two catches. First, the company interested in WebsiteSpark must have fewer than 10 employees and owners that build websites and Web applications on behalf of others. Second, there is a $100 program offering fee, payable at exit.
If you can deal with those two requirements, youll get access to the following:
- Microsoft Web design and development tools, including three licenses of Microsoft Visual Studio 2008 Professional Edition, two licenses of Microsoft Expression Web 3, and one license of Microsoft Expression Studio 3
- Four processor licenses for production usage to Windows Web Server 2008 or R2 (when available) and four processor licenses for production usage to Microsoft SQL Server 2008 Web Edition
- A third-party premium Web site control panel (DotNetPanel)
- Two technical support incidents per company
- Access to community support through connections with Network Partners, Hosting Partners and peers with complementary services and technologies
- Unlimited access to technical managed newsgroups on MSDN
- Unlimited program support for nontechnical issues
- Your companys offerings featured in a WebsiteSpark marketplace (coming this fall), supported by Microsoft marketing vehicles
This is the third Spark program out of Redmond: BizSpark helps early-stage startups succeed by providing Microsoft software, support, and visibility at no cost while DreamSpark gives students professional-level developer and designer tools as well as training available at no charge.
Web Platform Installer
Microsoft made sure it wasn just pushing its tools for free today though. The software giant announced version 2.0 of its Web Platform Installer (WebPI)—which sets up every Microsoft Web technology you need on your development box or deployment server—and of the Windows Web App Gallery, which allows developers to discover Web applications and use WebPI to download and install them. The biggest improvement with version 2 is that WebPI can now install popular open source ASP.NET and PHP Web apps. Furthermore, it analyzes all dependencies that the application needs and installs them (like downloading PHP from the PHP community site). The Windows Web App Gallerys biggest improvement is that its now available to an international developer audience in nine languages.
Published by Eng shoeb ahmed (Editor Digitalfamily of Bangladesh.FROM microsoft/news/2009/09/© Microsoft )Corporation. All rights reserved.

